![]() |
| কলেক্টেড |
টানা ৯০ দিন ধরে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক গ্রাহক ও ৫৫০ টির ও বেশি এজেন্ট। আজ রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক এর সামনে এক শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এজেন্টরা দ্রুত সেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন।
এজেন্ট ইউনিয়ন পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে এজেন্টরা জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হঠাৎ সিদ্ধান্তে এজেন্ট ব্যাংকিং বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৩ হাজার পরিবার চরম দুরবস্থায় পড়েছে। শুধু তাই নয়, ৫৫০ এজেন্টকে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে এবং প্রায় ১০ লাখ গ্রাহকের ব্যাংকিং সেবা স্থবির হয়ে গেছে। অগ্রণী ব্যাংক তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার দ্বারা এজেন্টব্যাংকি সেবা পুনরায় চালুকরবে বললেও অচল সফটওয়্যার এর কারণে তা চালু করতে পারেনি। এধরনে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এজেন্ট ও প্রান্তিক গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত করছেন। অন্য এক এজেন্ট দাবীকরেন অগ্রণী ব্যাংক এর কিছু কুচক্রী মহলের জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ রয়েছে। আদালত থেকে দুয়ারের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর নির্দেশনা দিলেও অগ্রণী ব্যাংক তা মানেনি।
অন্যান্য এজেন্টরা অভিযোগ করেন, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের উদাসীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবে এতদিন ধরে সেবা বন্ধ রয়েছে। আরো দাবি করেন অগ্রনী ব্যাংক এর মহাব্যবস্থাপক রওফা হক ও উপ মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা সহ কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রওফা হক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এর ঘনিষ্টজন বলে পরিচিতি রয়েছে ও সেলিম রেজার বাড়ি গোপালগঞ্জ এর কোটালীপাড়ায় হওয়ায় পতিত সরকারের সময় বেপক সুবিধা নিলেও এখনো তিনি বহাল তবিয়তে আসছে। এখন এজেন্টদের দাবি—
> অবিলম্বে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করতে হবে
> ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্ট ও পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
> ভবিষ্যতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে
কর্মসূচিতে এজেন্টরা আরও বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু শহরে নয়, গ্রামাঞ্চলেও ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছিল। এর ফলে কৃষক, দিনমজুর, ছোট ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ লেনদেনের সহজ সুযোগ পাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সেবা বন্ধ থাকায় এসব মানুষ এখন বিপাকে পড়েছেন।
অবস্থানে উপস্থিত কয়েকজন এজেন্ট জানান, গ্রাহকেরা প্রতিদিন এসে টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সেবা বন্ধ থাকায় তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। এতে এজেন্টদের সামাজিক সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে।
পরিশেষে, আন্দোলনকারী এজেন্টরা স্পষ্ট করে দেন যে, দ্রুত সমাধান না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

0 মন্তব্যসমূহ